বাগমারায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২

বাগমারায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২

রাজশাহীর বাগমারার নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রশিদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার নরদাশের বাঁধের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আবদুর রশিদের সমর্থকদের দাবি, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম সারওয়ারের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন।

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল রাতে আবু বকর সিদ্দিক ও মনসুর রহমান নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। আটক দুজনই নৌকার প্রার্থী গোলাম সারওয়ারের সমর্থক বলে জানা গেছে। আজ শনিবার দুপুরে আবদুর রশিদের সমর্থক শিউলী খাতুন বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এ মামলায় আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে নরদাশের বাঁধের হাট এলাকায় গোলাম সারওয়ারের নির্বাচনী সভা ছিল। সভা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ১৫-২০ জন সমর্থক সশস্ত্র অবস্থায় ইউনিয়নের বাসুদেবপাড়া গ্রামে গিয়ে আবদুর রশিদের সমর্থকদের ওপর ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালান। এতে আবু বকর সিদ্দিকের একজন নারী সমর্থকসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন বলে দাবি করা হয়।

এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। হামলার ঘটনায় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আবদুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে নির্বাচনী সভায় গোলাম সারওয়ার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। ‘কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না এবং পিটিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হবে’—গোলাম সারওয়ার এমন কথা বলেছেন। এই বক্তব্যের পরই আবদুর রশিদের লোকজন তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। গোলাম সারওয়ার নানাভাবে হুমকি অব্যাহত রেখেছেন বলে তিনি দাবি করেন।