১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ কমেছে তেলের দাম

১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ কমেছে তেলের দাম

করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে আফ্রিকায়। এই খবরে সারা বিশ্বেই রীতিমতো কাঁপুনি লেগেছে। শেয়ারবাজার পড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম কমছে দফায় দফায়।

গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় ১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৭২ দশমিক ৭২ ডলার। আর ইউএস অয়েল ফিউচার্সের দাম ১১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। যা কিনা গত বছরের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ দরপতন। গত বছরের এপ্রিলে একপর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমে মাইনাস ৪০ ডলার হয়। পরে সে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ায় পরিস্থিতি।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যাতায়াত বাতিল করেছে অনেক দেশ। সেই সঙ্গে নতুন করে লকডাউন কর্মসূচি আসতে পারে, এমনটাও আশঙ্কা হচ্ছে। যা চাহিদা আবারও কমিয়ে দিতে পারে। গত সপ্তাহের শুরুতে এই নতুন ধরন শনাক্তকরণের পর ইতিমধ্যে ছয়টি আফ্রিকান দেশে ফ্লাইট পরিচালনায় ইতালি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্য বিধিনিষেধ আরোপের কথা জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো ও ইসোয়াতিনি থেকে ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ফ্লাইট নিষিদ্ধের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।

অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের শেয়ার সূচকও পড়ে গেছে গত শুক্রবার। হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, জাপানের নিকেই সূচক কমেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এশিয়ার বাজারের ধাক্কায় ইউরোপের বাজারও পড়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০, ফ্রান্সের সিএসি ৪০, জার্মানির ডিএএক্স সব সূচকই ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমেছে।