বাড়ছে নারী গ্রাহক, বাড়ছে কর্মীও

বাড়ছে নারী গ্রাহক, বাড়ছে কর্মীও

এখন রাজধানীর যেকোনো ব্যাংক শাখায় গেলেই দেখা মেলে নারী ব্যাংকারের। আবার গ্রাহকের লাইনে বা ব্যাংক কর্মকর্তার টেবিলের সামনেও নারী গ্রাহকদের সেবা নেওয়ার দৃশ্যটিও স্বাভাবিক। শুধু শাখা নয়, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগেই এখন নারী কর্মীদের উপস্থিতি রয়েছে। এমনকি কয়েকটি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগও সামলাচ্ছেন নারী কর্মীরা। ফলে পুরো ব্যাংক খাতে নারীদের পদচারণ গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

দেশের সব ব্যাংকে নারীদের জন্য রয়েছে পৃথক আমানত ও ঋণপণ্য। বিশেষায়িত এসব পণ্যের মাধ্যমে নারীরা যেমন ঋণ নেন, তেমনি আমানতও রাখেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে রয়েছে আলাদা নির্দেশনা। ফলে সব মিলিয়ে পুরো আর্থিক খাতে নারীদের উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে।

তবে ব্যাংকের শীর্ষ পদে এখনো নারীদের উপস্থিতি হাতে গোনা। এখন বেসরকারি খাতের ট্রাস্ট ব্যাংক ও সরকারি খাতের কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন দুই নারী। তবে দেশীয় ব্যাংকগুলোর তুলনায় বিদেশি ব্যাংকে নারী কর্মীর হার বেশি।

ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব ব্যাংকে এখন ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর হয়েছে। আবার এই ছুটির কারণে কাউকে পদোন্নতিবঞ্চিত না করারও নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ফলে ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কম সুদের আলাদা ঋণপণ্য চালু করেছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এতে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া আগের চেয়ে কিছুটা সহজ হয়েছে। এসব কারণে ব্যাংকে নারী কর্মী যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও।