সরকার উলুবনে মুক্তা ছড়াচ্ছে

সরকার উলুবনে মুক্তা ছড়াচ্ছে

প্রবাসী আয় টানতে প্রণোদনার হার আধা শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত একটা ভুল নীতি-পদক্ষেপ। সবকিছু খুলে যাচ্ছে। এখন প্রবাসী আয় কমবেই। এত দিন মানুষ ভ্রমণের জন্য বাইরে যেতে পারতেন না। চিকিৎসার জন্যও যেতে পারতেন না কোথাও। ফলে অর্থ বেঁচে যেত। ওই অর্থ তাঁরা দেশে পাঠাতে পারতেন। এখন তো একটু একটু করে মানুষ বের হচ্ছেন। নিজেদের জন্যই খরচ করতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে পাঠানোর মতো অর্থ তেমন থাকছে না।

প্রবাসী আয় কমার সঙ্গে ডলারের তুলনায় টাকার মানের বিষয়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাংকে প্রতি ডলারের বিপরীতে যে টাকা পাওয়া যায়, অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি। এটা খুবই স্বাভাবিক যে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে বেশি অর্থ পাওয়ার কারণে একশ্রেণির মানুষ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠাবেন না। তাই এইটুকু বাড়তি প্রণোদনা দিয়ে কী হবে? ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ যাঁরা পাঠাবেন, তাঁরা এমনিতেই পাঠাবেন।

আরেকটা বিষয় আছে এখানে। আমদানি বেড়ে গেছে ৫০ শতাংশ। এটা কমানোর পথও তো বের করতে হবে। সংসার জীবনে আমরা কী করি? টাকা না থাকলে কম কিনি, কম খাই। সরকারেরও তা–ই করতে হবে।

দরকার হচ্ছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করা। এটা করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু উচিত কাজ করার পথে সরকার যাচ্ছে না। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন কেন যাচ্ছে না। আমি বলব অযৌক্তিক কারণে। এমনও হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নীতি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাব রয়েছে।