আপনার বাড়ির বীমার খরচ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেশি। আপনার মর্টগেজও তেমন হওয়া উচিত।

আপনার বাড়ির বীমার খরচ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেশি। আপনার মর্টগেজও তেমন হওয়া উচিত।
### আপনার বাড়ির বীমার খরচ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেশি। আপনার মর্টগেজও তেমন হওয়া উচিত।
আমাদের দেশে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রতিবছরই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, এবং অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয় আমাদের জীবন ও সম্পদকে বিপজ্জনক করে তুলছে। এই প্রেক্ষাপটে, বাড়ির বীমার খরচ এবং মর্টগেজের হার কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি।
ফ্যানি ম্যায় এবং ফ্রেডি মাক, এই দুই প্রধান সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা হলো আবাসন ঋণ ও মর্টগেজের অর্থায়ন। কিন্তু তারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ির বীমার খরচ বা মার্টগেজের হার নির্ধারণে কার্যত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। এর ফলে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়ি কেনার সময় অধিক বীমার খরছ এবং উচ্চ মর্টগেজের হার গুণিত হয়, যেটি বিতর্কের সৃষ্টি করছে।
গত কয়েক দশকে গবেষণা প্রমাণ করেছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেসব এলাকায় সাম্প্রদায়িকভাবে বন্যা, পার্বত্য অঞ্চলে দাবানল এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বেশি, সেসব এলাকায় বাড়ির বীমার খরচ স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি হয়। যখন কোনো বাড়ি ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, তখন তার বীমা কোম্পানিগুলো উচ্চ প্রিমিয়াম ধার্য করে যাতে তারা ক্ষতিপূরণের সামর্থ্য বজায় রাখতে পারে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যখন এই ঝুঁকিগুলো পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে না, তখন সাধারণ মানুষের জন্য বিপদ আরও বাড়ে। আজকের যুবকরা যখন বাড়ি কিনতে যাচ্ছেন, তখন তাদের মানসিকতা এবং আর্থিক পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলছে এই বাড়ির বীমা ও মর্টগেজের বর্ধিত খরচ।
আমরা দেখতে পাই যে, উচ্চ বীমা খরচ এবং মর্টগেজের হার অনেক সময় তাদের জন্য একটি গুরুতর আদর্শ ও ফাঁদ হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, যারা ভাবছেন তাদের প্রথম বাড়ি কিনবেন, তাদের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ একধরনের অযোগ্যতার সৃষ্টি করে। তাই, যারা বাড়ি কিনতে চান, তাদের উচিত স্থানীয় জলবায়ু পরিস্থিতি এবং ওই এলাকার ইতিহাস ভালোভাবে বোঝা।
সংক্ষেপে, মাথায় রাখতে হবে, আমাদের আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলো শুধুমাত্র পরিবেশের সমস্যাই নয়; এটি অর্থনৈতিক দিক থেকেও আমাদের উপর ভর করছে। বাড়ির বীমা এবং মর্টগেজের হারকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চিন্তা ও সঙ্গতিপূর্ণভাবে প্রাসঙ্গিক করা উচিত। এভাবে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করে তুলতে পারব।