বিটকয়েনের উত্থানের পেছনে একটি সহজ সত্য রয়েছে: সাপ্লাই সীমিত।

বিটকয়েনের উত্থানের পেছনে একটি সহজ সত্য রয়েছে: সাপ্লাই সীমিত।

### বিটকয়েনের উত্থানের পেছনে একটি সহজ সত্য রয়েছে: সাপ্লাই সীমিত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির উত্থান আমাদের অর্থনৈতিক জগতের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। বিটকয়েনের বিশেষত্ব হলো এর সীমিত সাপ্লাই। এটি সৃষ্টির ইতিহাস থেকে প্রতিস্থাপিত হয় যে, মোট ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন কেবল তৈরি করা যাবে, যা এই ডিজিটাল কয়েনের মান বিষয়ক এক গুরুত্বপূর্ণ নীতি স্থাপন করে।

২০০৯ সালে বিটকয়েনের আবিষ্কারক স্যাটোশি নাকামাটো একটি বিমূর্ত হোডলিং নির্মাণ করেছিলেন, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। বিটকয়েনের কাজের পদ্ধতি হল ব্লক মিনিং, যেখানে নতুন বিটকয়েন তৈরি করা হয় একটি জটিল গণনার মাধ্যমে। কিন্তু, একটি বিশেষ নিয়ম অনুসারে, প্রতি চার বছরে বিটকয়েনের পুরস্কার অর্ধেক হয়ে যায়। এই ‘হ্যালভিং’ প্রক্রিয়া এটির সাপ্লাইকে আরো সীমিত করে দেয়।

সাপ্লাই সীমিত থাকার কারণে বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়। যখন বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ে এবং সাপ্লাই সীমিত থাকে, তখন এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যের বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। এই কারণে, বিটকয়েনের উত্থান চরমভাবে লক্ষণীয় হয়েছে বিশেষ করে ২০২০ সালের মাঝের পর থেকে। অনেক বাজার বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে বিটকয়েনের মূল্য আগামীদিনগুলিতে আরো বাড়তে পারে, কারণ ক্রেতারা সীমিত সাপ্লাইয়ে আক্রমণাত্মকভাবে বিটকয়েন অর্জনের চেষ্টা করবে।

এতে প্রমাণিত হয় যে, কেবলমাত্র সাপ্লাইয়ের সীমাবদ্ধতা নয়, বরং বিনিয়োগকৃত মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ধারণাও উদ্ভূত। যখন লোকেরা মনে করে যে একটি সম্পদ অচিরেই বৃদ্ধি পাবে, তখন তারা তা কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে। বিটকয়েনের ক্ষেত্রে, এটি বর্তমান সময়ে একটি ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা অনেক বিনিয়োগকারীর জন্য নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।

বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন দেশের মুদ্রাস্ফীতি প্রক্রিয়া বিটকয়েনের প্রতি অর্থনৈতিকভাবে আরও আকর্ষণীয় করেছে। এটির ভিত্তি বাহিত করার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থনীতির পরিবর্তন যারা বিটকয়েনকে গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে প্রভাবশালী নেতা এবং উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বেড়েছে। তাছাড়া, বড় বড় কর্পোরেশনগুলোও মূলধনে বিটকয়েন অন্তর্ভুক্ত করতে সচেষ্ট হয়েছে।

শেষ কথা, বিটকয়েনের উত্থানের পেছনে যে সহজ সত্যটি রয়েছে, সেটি হচ্ছে এর সীমিত সাপ্লাই। এতে বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত যে, বিটকয়েনের মূল্য সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকবে। কিন্ত এর বিভিন্ন ঝুঁকিও রয়েছে, যা বিনিয়োগের আগে ভালভাবে বুঝতে হবে। সঠিক জ্ঞান এবং গবেষণার মাধ্যমে বিটকয়েনের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রতি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।