ভাবছেন ‘উইকিড’ সিনেমাটি ভালো চলেছে? ব্রডওয়ে শো সংস্করণটি ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

ভাবছেন ‘উইকিড’ সিনেমাটি ভালো চলেছে? ব্রডওয়ে শো সংস্করণটি ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

**ভাবছেন ‘উইকিড’ সিনেমাটি ভালো চলেছে? ব্রডওয়ে শো সংস্করণটি ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।**

গত কয়েক বছর ধরে হলিউডের সিনেমা জগতে যে ধরনের রূপান্তর দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম চমকপ্রদ উদাহরণ হলো ‘উইকিড’। ২০০৩ সালে ব্রডওয়েতে প্রথম প্রদর্শিত হওয়া এই মিউজিক্যাল শো, এখন নতুন সিনেমা আকারে ফ্রন্টলাইনে এসেছে। এই সিনেমার সাফল্যের কারণ শুধু তার অভিনয় কিংবা সঙ্গীত নয়, বরং এটি ব্রডওয়ের পরম্পরাকে নতুন করে জীবন্ত করেছে।

‘উইকিড’ ব্রডওয়ের ইতিহাসে এক মাইলফলক হতে পেরেছে। এটি মূলত গ্রেগরি ম্যাকগুয়ারের “ওজ-এর জাদুকর” এর কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে এবং এটি দুই স্বর্ণকেশী মহিলার বন্ধুত্বের কাহিনী নিয়ে। নাটকটিতে মানুষের ভয়, উপলব্ধি এবং বাস্তবতার বিপরীতে আমাদের সমাজের মূল্যবোধ নিয়ে গভীর আলোচনা করা হয়েছে।

সিনেমার মুক্তির পর, ‘উইকিড’ শোটি আবার জাদুকরী সফলতার শিখরে উঠে এসেছে। গতমাসে এটি ব্রডওয়ে থেকে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এটি সর্বকালের সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা ব্রডওয়ে শোগুলোর একটি। আমেরিকার মঞ্চ নাটকগুলি এক সময় সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল, তবে গত দশকে সিনেমার জগতে চাপ পড়ায় মঞ্চ প্রদর্শনী কিছুটা কম গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু ‘উইকিড’ সিনেমার সফলতার পর আবার সেই ব্রডওয়ে শো গুলি আলোচনায় এসেছে, যা দেখায় মঞ্চ নাটকগুলোরও নিরবচ্ছিন্ন জনপ্রিয়তা রয়েছে।

এই সফলতা কেবল ‘উইকিড’-কেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং অন্যান্য জনপ্রিয় মিউজিক্যাল কিংবা নাটকের সিনেমা সংস্করণের সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সিনেমা ও থিয়েটারের যুগলবন্দী নতুন ধরণের দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে, যা থিয়েটারের প্রাণকে টেনে নিয়ে আসবে।

এর আগে ‘দ্য লায়ন কিং’, ‘হ্যামিল্টন’ ও ‘দ্য ফ্যান্টম অফ দ্য ওপেরা’ এর মতো সফল মঞ্চ নাটকগুলোও সিনেমা রূপে সফল হয়েছে। এক্ষেত্রে, ‘উইকিড’ এর সফলতা অন্যান্য মঞ্চ নাটককে নতুনভাবে মূল্যায়ন করার সুযোগ দিয়েছে।

সুতরাং, মনে করা হচ্ছে যে ‘উইকিড’ শুধু একটি সিনেমা নয় বরং থিয়েটার সংস্কৃতির পুনর্জাগরণের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এটি প্রমাণ করেছে যে, ভালো গল্প, শক্তিশালী চরিত্র এবং সঙ্গীতের মেলবন্ধন আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারে, তা যেখানেই তৈরি হোক না কেন। এই ধারায় নতুন চলচ্চিত্রগুলোর অভিষেক ঘটবে কিনা, তা সময়ই বলবে। But until then, ‘উইকিড’ আমাদের মনে রাখার মতো একটি নাম হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছে।