ট্রাম্পের নির্বাচিত IRS প্রধান এমন একটি সংস্থার নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, যা তিনি একসময় বাতিল করতে চেয়েছিলেন। তিনি এটি কীভাবে পরিচালনা করতে পারেন, দেখে নিন।

ট্রাম্পের নির্বাচিত IRS প্রধান এমন একটি সংস্থার নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, যা তিনি একসময় বাতিল করতে চেয়েছিলেন। তিনি এটি কীভাবে পরিচালনা করতে পারেন, দেখে নিন।
### ট্রাম্পের নির্বাচিত IRS প্রধান এমন একটি সংস্থার নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, যা তিনি একসময় বাতিল করতে চেয়েছিলেন। তিনি এটি কীভাবে পরিচালনা করতে পারেন, দেখে নিন।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল আভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের (IRS) সংস্কার। ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের প্রতি পূর্বের মনোভাব ছিল অত্যন্ত ঋণাত্মক। তিনি এই সংস্থাকে প্রায়ই তার নির্বাচনী প্রচারে সমালোচনা করেছেন এবং এমনকি দাবি করেছেন যে, তাকে বাতিল করা উচিত। কিন্তু এখন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এই সংস্থার প্রধান হিসেবে নতুন একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চলেছেন।
২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর, IRS-র ভূমিকা বেড়ে যায়। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের জন্য এটি একটি অত্যাবশ্যকী এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হয়ে উঠে। আর্থিক নীতি এবং কর সংগ্রহ ব্যবস্থার কার্যকর পরিচালনা নিশ্চিত করা এই সংস্থার প্রধান লক্ষ্য। নির্বাচনে ট্রাম্পের শাসন কালে এবং তার পরে মার্কিন অর্থনীতির পুনর্গঠন, প্রচুর পরিবর্তন এবং সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তাই IRS-র সাথে এর নতুন প্রধানের সঠিক পরিচালনা কিভাবে হবে, এটাই এখন প্রশ্ন।
ট্রাম্পের দলীয় পরিচিতি এবং তার কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতে, দেশের করনীতি এবং রাজস্ব সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনার আশা করা হচ্ছে। তবে তার পূর্ববর্তী মন্তব্যগুলো আরাধিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। বিশেষ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি তিনি কার্যকরভাবে আইআরএস-এর সংস্কার চালান তবে তা সাধারণ জনগণের পক্ষে অত্যন্ত সুবিধাজনক হতে পারে।
নির্বাচিত প্রধান হিসেবে জানোয়ারের পরিকল্পনা কী হবে, তা এখন দর্শকদের আকৃষ্ট করছে। তিনি কর দাতাদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারেন এবং অত্যধিক কর দেওয়ার অভিযোগগুলো মোকাবিলার জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন। লক্ষ্য হবে, যে সকল করদাতা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, তারা যেন নির্যাতনের শিকার না হন।
এছাড়াও, ট্যাক্স পালনের সঠিকতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারেন নতুন প্রকল্পগুলি। যা সাধারণ জনগণের মনে কর নির্ভরতা বৃদ্ধি করবে। একটি বৃহত্তর জনগণকে সঠিকভাবে কর দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করলে সরকারী রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।
অবশ্যই, পরিবর্তন কোনো সহজ কাজ নয়। ট্রাম্পের অব্যাহত চ্যালেঞ্জ এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের অবস্থা এই পরিবর্তনের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে, নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে মার্কিন IRS-এ, যা দেশের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের পথে সেতুবন্ধনের কাজ করতে পারবে।
অবশেষে, জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি, আইআরএস-র কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতিশ্রুতি, এবং নতুন শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকারিতা সমগ্র প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলবে। তাই আগামীর জন্য অপেক্ষা করাই শ্রেয়।