হান্টার বাইডেন এবং ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত আর্থিক অপরাধে মাফ করার ঘটনা।

হান্টার বাইডেন এবং ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত আর্থিক অপরাধে মাফ করার ঘটনা।

### হান্টার বাইডেন এবং ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত আর্থিক অপরাধে মাফ করার ঘটনা

২০১৯ সালে, হান্টার বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হিসেবে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে আসেন। তার কাছে অভিযোগ ছিল আর্থিক অপরাধের, কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্তৃত্বাধীন সময়ে কি হান্টারকে মাফ করা হবে? গত কিছু দশকে, আমেরিকান রাজনীতিতে পardon বা মাফ দেওয়া একটি বিতর্কিত বিষয় হয়েছে।

আসুন এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসে কিছু বিতর্কিত আর্থিক অপরাধের প্যardon কিভাবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

প্রথমদিকে, প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ১৯৩৩ সালে এক প্রখ্যাত ব্যবসায়ী, হেলিয়ার হপকিন্সকে মাফ করেছিলেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পরিসংখ্যানের উপর বড় ধরনের জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এর পরিণতি হিসেবে বেশ কিছু সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে।

পরে বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ২০০১ সালে মার্ক রিচ নামক এক ব্যবসায়ীকে মাফ করেন। রিচের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ডলারের আরোহণ করানোর অভিযোগ ছিল। ক্লিনটনের এই সিদ্ধান্ত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে বিতর্কের জন্ম দেয় কারণ রিচের স্ত্রী দলের গুরুত্বপূর্ণ দাতাদের মধ্যে ছিলেন।

অন্যদিকে, বারাক ওবামার সময়ে ২০১৬ সালে ওয়েস্ট টেক্সাসের এক নিরাপত্তা চুক্তিকারের কেসে মাফ দেওয়া হয়েছিল। এটির পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের এক কুখ্যাত ব্যবসায়ীও মুক্তি পেয়েছিল, যার বিরুদ্ধে ব্যাপক অর্থপাচার ও জালিয়াতির অভিযোগ ছিল।

হান্টার বাইডেনের ক্ষেত্রে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিষয়ে কাউকে মাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তা সামাজিক মাধ্যমে নানাপ্রকার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। সচেতন নাগরিকদের মনে প্রশ্ন উঠবে, কি কারণে এক প্রেসিডেন্ট তার ছেলেকে মাফ देंगे, বিশেষ করে যখন তিনি নিজের দপ্তরের শুদ্ধতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অবশ্যই, প্রেসিডেন্টদের কাছে মাফ দেওয়া একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। তবে স্থানীয় এবং জাতীয়ভাবে তাদের অনেক সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে পারে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য এটি একটি জটিল পরিস্থিতি হবে, তাই যদি তিনি হান্টারকে কোনভাবে মাফ দেন।

দীর্ঘকাল ধরে মার্কিন ইতিহাসে মাফ দেওয়ার সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক প্রসঙ্গে জড়িত হয়েছে এবং হান্টার বাইডেনের ঘটনাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। ভবিষ্যতে দেখে নেয়া দরকার, অধিকাংশ সভ্যতার ইতিহাসের তুলনায় কীভাবে এই একক ঘটনা আরো একটি অধ্যায় হবে প্রেসিডেন্টদের জন্য বিতর্কের।