দিল্লির বার্গার কিং হত্যাকাণ্ডে ‘লেডি ডন’ গ্রেপ্তার, যুক্তরাষ্ট্র পালানোর পরিকল্পনা ছিল

দিল্লির বার্গার কিং হত্যাকাণ্ডে ‘লেডি ডন’ গ্রেপ্তার, যুক্তরাষ্ট্র পালানোর পরিকল্পনা ছিল

দিল্লি পুলিশ দিল্লির পশ্চিম রাজৌরি গার্ডেনের বার্গার কিং হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে পরিচিত আন্নু ধনখর ওরফে ‘লেডি ডন’-কে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রের বরাতে জানা যায়, ১৯ বছর বয়সী এই নারী অভিযুক্ত গ্যাংস্টার হিমাংশু ভাউ-এর সহযোগী ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি এলাকায় ইন্দো-নেপাল সীমান্তের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বছরের ১৮ জুন দিল্লির রাজৌরি গার্ডেনের একটি বার্গার কিং আউটলেটে আমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল। দ্য সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের মতে, আন্নু ধনখর, যিনি রোহতাক, হরিয়ানার বাসিন্দা, তাঁর বিরুদ্ধেও আগে থেকেই হত্যা মামলার জন্য খোঁজা হচ্ছিল। দিল্লির স্পেশাল সেলের ডেপুটি কমিশনার অমিত কৌশিক বলেছেন, “ধনখর রাজৌরি গার্ডেনের বার্গার কিং হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং ১৮ জুনের ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তাঁর গ্রেপ্তারি আমাদের বড় সাফল্য।”

হত্যাকাণ্ডের পটভূমি: ১৮ জুনের বার্গার কিং শ্যুটআউট

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুনের দিন সন্ধ্যায় তিনজন অভিযুক্ত একটি মোটরবাইকে করে বার্গার কিং রেস্টুরেন্টে পৌঁছায়। অভিযুক্তদের একজন বাইকের পাশে অপেক্ষা করছিলেন, বাকি দুজন রেস্তোরাঁর ভেতরে ঢুকে খুব কাছ থেকে প্রায় ২০-২৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে আমানকে হত্যা করে। ঘটনার সময় আমান একজন মহিলার সাথে রেস্তোরাঁয় বসেছিলেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে আন্নু ধনখর আত্মগোপনে চলে যান। তিনি নেপালের সীমান্ত দিয়ে ভারতে থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে পুলিশের ধারণা।

এছাড়াও, পড়ুন : গ্লোবাল ম্যাগনেটিক সুইচ মার্কেটের আকার 2023 সালে USD 2.00 বিলিয়ন ছিল, এই প্রতিবেদনটি বাজারের বৃদ্ধি, প্রবণতা, সুযোগ এবং পূর্বাভাস 2024-2030 কভার করে

‘লেডি ডন’-এর পলায়ন পরিকল্পনা

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আন্নু ধনখর একটি ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক সীমানা পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং সীমান্ত পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করতে সক্ষম হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ এই পাসপোর্ট এবং ভ্রমণ নথি জব্দ করেছে।

তদন্তের অগ্রগতি

দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ইতিমধ্যে বার্গার কিং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তদন্তকারীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা গ্যাং সম্পর্কিত বিরোধ থাকতে পারে। উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা এর আগে বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল এবং তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও ছিল।