ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জে পাইপোলকে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরাবেন না।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জে পাইপোলকে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরাবেন না।

**ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জে পাইপোলকে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরাবেন না**

গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে রয়েছে। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য এবং কার্যক্রমগুলি জনমানসে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি, ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি জে পাইপোলকে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাবেন না তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে। এই সিদ্ধান্তের পিছনে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা রয়েছে, তা বোঝা জরুরি।

জে পাইপোল ২০১৮ সালে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং তার নেতৃত্বে আমেরিকার বাজারে সুদের হারের পরিবর্তন ঘটে। পাইপোলের সময়ে ফেডারেল রিজার্ভ বাংলাদেশে মতামত বিভক্ত করেছে। একদল মনে করেন, তার নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে, অন্যদিকে কিছু সমালোচক জানান যে তার নীতির কারণে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে।

ট্রাম্পের বক্তব্যের একটি আকর্ষণীয় দিক হলো তার বাণিজ্য নীতি। তিনি বলেন, “মুল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” এর পিছনে কারণ হিসেবে তার বাণিজ্য শুল্ক সম্পর্কিত নীতি উল্লেখ করেছেন। তার দাবি অনুসারে, বাণিজ্য শুল্কের ফলে আমদানির মূল্য বৃদ্ধি পাবে, যা ভোক্তাদের জন্য বৃহত্তর ব্যয়ের চাপে ফেলতে পারে। কিন্তু একইসাথে, তিনি মনে করেন এটি দেশীয় উৎপাদনকে উত্সাহিত করতে পারে।

মার্কিন অর্থনীতির ইতিহাসে ট্রাম্পের এই নীতি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৯৮০-এর দশকে রোনাল্ড রেগনের সময়কালে আমরা Similar স্ট্রাকচারাল চেঞ্জ দেখতে পেয়েছিলাম। সে সময়ে রেগণ কর কাটার নীতি গ্রহণ করেন এবং বলেছিলেন যে এটি অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য উপকৃত হবে। তাই ট্রাম্পের বক্তব্য অর্থনীতির ইতিহাসের আলোকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হতে পারে।

অন্যদিকে, জে পাইপোলের ভূমিকা এবং লাইফ কষ্টের সাথে সম্পৃক্ততা বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটারি পলিসির নেতৃত্ব প্রদান করছেন এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর তার দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে কার্যকরীভাবে বন্ধনী করছে।

শেষে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং মার্কিন অর্থনীতির সংকট ও সম্ভাবনার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র। ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব মার্কিন অর্থনীতির জন্য কেমন হবে, তা জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার — জে পাইপোলের ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পদে থাকা এবং ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির মধ্যে একটি সমান্তরাল সম্পর্ক রয়েছে।