চার্টে দেখা যাচ্ছে, কানাডা এবং মেক্সিকোতে ট্রাম্পের শুল্কের কারণে মুদ্রাস্ফীতি এই স্তরে পৌঁছাতে পারে।

চার্টে দেখা যাচ্ছে, কানাডা এবং মেক্সিকোতে ট্রাম্পের শুল্কের কারণে মুদ্রাস্ফীতি এই স্তরে পৌঁছাতে পারে।

**চার্টে দেখা যাচ্ছে, কানাডা এবং মেক্সিকোতে ট্রাম্পের শুল্কের কারণে মুদ্রাস্ফীতি এই স্তরে পৌঁছাতে পারে।**

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষত, কানাডা এবং মেক্সিকোর বিরুদ্ধে তার শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটির ফলে মার্কিন অর্থনীতিতে সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ডয়চে ব্যাংক রিসার্চের মতে, এই শুল্কের ফলে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি একটি ভিন্ন মাত্রা লাভ করতে পারে, যদিও অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে “বিশাল অন্ধকার” বিরাজ করছে।

শুল্ক আরোপ প্রান্তিক দেশের সাথে বাণিজ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, যা ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবাহের মধ্যে পরিবর্তন ঘটায়। ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় আমেরিকার উত্পাদন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবং সেদিক থেকে ট্রেড এগজিকিউশনে শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন। কানাডা এবং মেক্সিকো, যারা যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম, তাদের উপর শুল্ক আরোপ করলে এই দেশের নাগরিকদের জন্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

শুল্ক বাড়ানোর ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়, যা ভোক্তাদের উপর চাপ ফেলে। কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের উপরে শুল্ক আরোপ করা হলে, মার্কিন কোম্পানিগুলো এই খরচগুলো সাধারণত ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, সেখান থেকে উৎপন্ন মুদ্রাস্ফীতি সামগ্রিক অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।

এছাড়া, ট্রাম্পের শুল্কনীতি দেশের ভেতরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। কানাডা এবং মেক্সিকো উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ দেশটির রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে দুর্বল করতে পারে। বাণিজ্য সংঘাতের ফলে কর্মসংস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের উপর ভীষণ চাপ সৃষ্টি করে।

ডয়চে ব্যাংকের বিশ্লেষকরা বলছেন, যদিও বর্তমান পরিস্থিতি অস্পষ্ট, তবে শুল্কের প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি শুল্ক বজায় থাকে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের জন্য এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। বিশেষ করে, যখন বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট চলছে, তখন এই অবস্থার বহিঃপ্রকাশ আরও মারাত্মক হতে পারে।

অতএব, ট্রাম্পের শুল্কনীতি সম্পর্কে অবগত থাকার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, এবং পরবর্তীতে মার্কিন অর্থনীতির উন্নতি বা পতনের দিকে নজর রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই উভয় দেশের ভূমিকা এবং সম্পর্ক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারব শুল্কের প্রভাবগুলি।