পুতিন ট্রাম্পের প্রথম শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবেন, বলেছেন রুশ ধনকুবের।

পুতিন ট্রাম্পের প্রথম শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবেন, বলেছেন রুশ ধনকুবের।

**শিরোনাম: পুতিন ট্রাম্পের প্রথম শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবেন, বলেছেন রুশ ধনকুবের।**

রাশিয়ার ধনকুবের কনস্টানтин মালোফেভের বক্তব্য অনুসারে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না। তিনি দাবি করেন যে, পুতিনের কাছে স্বীকৃত শান্তি আলোচনা তখনই সম্ভব হবে যখন তা আরও বিস্তৃতি নিয়ে হবে, যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘাত অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইতিহাসের একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক আধিপত্য ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বগুলির মধ্যে শাসকরা প্রায়ই নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে নানান কৌশল গ্রহণ করে। ট্রাম্পের প্রশাসন যখন প্রথমে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন রাশিয়া অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করে। এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলো আরও জটিল হয়ে ওঠে। মালোফেভের মতে, পুতিনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে কোন শান্তি আলোচনা শুধুমাত্র ইউক্রেনের সংকট নিয়ে নয়, বরং বিশ্বব্যাপী টানাপোড়েন ও উত্তেজনাগুলির সমাধানে আলোকপাত করা হবে।

রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক অবস্থান নজর দিলেই এই বক্তব্যের গুরুত্ব সামনে আসে। ইউক্রেন সংকটের সময় থেকে রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে জনমত তৈরি করতে বাধ্য হয়েছে, যার ফলে তাদের আন্তর্জাতিক উপস্থিতি এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের সমর্থন প্রভাবিত হয়েছে। পুতিনের শাসনামলে, প্রায়শই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলি তথ্য ও সমর্থনের সুবিধার্থে যুগপতভাবে নেওয়া হয়।

মালোফেভের বিশ্লেষণ অনুসারে, পুতিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও এখানে প্রভাব রাখে। তিনি শান্তি আলোচনা যেন কেবল ইউক্রেন সংকটের সীমিত আঙ্গিকে আটকে না যায়, বরং এটি বিশ্বের অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী সংকট এবং ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়ার প্রভাবের স্থান আরও দৃঢ় হবে।

দেশটির অন্য একটি প্রবীণ কূটনীতিকও এ বিষয়ে একই আওয়াজ তুলেছেন, বলছেন, “শান্তি আলোচনা একটি সূচনা হতে পারে, তবে তা না হতে পারে যদি একপেশে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” অর্থাৎ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়ার স্বার্থের দিকে না তাকায়, তবে তা আলোচনার জন্য উপযুক্ত হবে না।

এভাবে, পুতিন যদি ট্রাম্পের প্রথম শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে এর পিছনে কেবল দেশের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং বিশ্বের সামগ্রিক নিরাপত্তা অঙ্গনের প্রতিচ্ছবিও থাকতে পারে। একদিকে, সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তাহীনতা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির কয়েকটি মৌলিক উদ্দেশ্য, এই সবকিছুই রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের খুঁটিনাটি বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।